পেশা যা একজন ব্যক্তি জীবিকা অর্জন করে থাকে। দৈনন্দিন জীবনে পেশা আর জীবিকা সমার্থকরূপে ব্যবহার করা হয়, তবে এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি জীবিকা হলো মূলত ব্যক্তি জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং কর্মসংস্থান ও অভিজ্ঞতার সম্মিলিত রূপরেখার প্রতিফলন। জীবিকার্জনের জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরণের পেশা গ্রহণ করে থাকে । অন্যদিকে পেশা বা বৃত্তি হলো একটি নির্দিষ্ট সাধারণ কাজের নাম । যেমন চিকিৎসক, স্থপতি, ধাত্রী ইত্যাদি । এরা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে । তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভিন্ন ভিন্ন । এজন্য তাদের ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতা, দক্ষতা আর জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। চাকরি হলো একটি নির্দিষ্ট পেশার অন্তর্গত বিশেষ একটি পদ বা অবস্থা। যেমন কোনো সংস্থার প্রধান স্থপতি ।
নিজের অবস্থানের উন্নতির জন্য উত্তরোত্তর প্রশিক্ষণ, ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রচেষ্টা, মানিয়ে চলা, খাপ খাওয়ানো প্রভৃতি ধাপ সফলতার সাথে পেরিয়ে 'পেশা' ও 'জীবিকা’র উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয় ।
সময় গতিশীল। সময়ের এই গতিময়তার সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় সমাজ, পরিবর্তিত হয় আমাদের চারপাশ, কাজের পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট। আমাদের দেশের কর্মক্ষেত্রেও এসেছে অনেক পরিবর্তন । আজ থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগেও আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের পেশা ছিল কৃষিকাজ কিংবা কৃষিভিত্তিক শিল্পে শ্রম দেওয়া। আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য। আজকের দিনে আমাদেরকে এরূপ পরিবর্তন ও বৈচিত্র্যের সাথে খাপ খাওয়াতে পারলে 'পেশা' ও 'জীবিকা' উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হবে ।
আরও দেখুন...